CLASS VI-VIII

এশিয়া মহাদেশ সপ্তম শ্রেণি | সপ্তম শ্রেণির নবম অধ্যায় এশিয়া মহাদেশ

এশিয়া মহাদেশ সপ্তম শ্রেণি
এশিয়া মহাদেশ সপ্তম শ্রেণি

1.কোন মালভূমিকে পৃথিবীর ছাদ বলে?
উওর:পামীর মালভূমি।
2.পৃথিবীর বৃহত্তম বনভূমির নাম কি?
উওর:তৈগা বনভূমি।
3.পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদের নাম কি?
উওর:কাস্পিয়ান সাগর।
4.কোন দুটি মহাদেশকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়?
উওর:এশিয়া ও ইউরোপ।
5.কোন নদীর উপত্যকায় হরপ্পা ,মহেঞ্জোদারো ও সিন্ধু সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল?
উওর:সিন্ধু নদের পাড়ে।
6.কোন নদীর উপত্যকায় চীন সভ্যতার বিকাশ ঘটে?
উওর:হোয়াংহো নদী উপত্যকায়।
7.কোন পর্বতের মাঝে তিব্বত মালভূমি অবস্থিত?
উওর:হিমালয় ও কুয়েনলুন পর্বত।
8.এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উওর:ইয়াংসি নদী।

9.এশিয়া মহাদেশের কোন নদীকে পীত নদী বলা হয়?
উওর:হোয়াংহো নদীকে।
10.এশিয়া মহাদেশের কোন নদী ‘স্বর্ণরেণুর নদী’ নামে পরিচিত?
উওর: ইয়াংসি নদী।
11.টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মিলিত প্রবাহের নাম কি?
উওর: সাত-এল-আরব।
12.কাকে চীনের ধানের গোলা বলা হয়?
উওর: হুনান প্রদেশকে।
13.চিনের ম্যানচেস্টার কাকে বলা হয়?
উওর: চিনের বৃহত্তম শহর সাংহাই কে।
14.OPEC এর সদর দপ্তর কোথায়?
উওর:ভিয়েনা।
15.বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক তৈলখনি কোনটি?
উওর: সাফানিয়া।

শূন্যস্থান পূরণ কর:
1.বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল মহাদেশ হল______

2.সিন্ধু নদীর উৎস_______

3.________বনভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম সরোবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি।

4.________প্রদেশকে চীনের শস্য ভান্ডার বলা হয়।

5.বিশ্বের বৃহত্তম খনিজ তেল উত্তোলন কেন্দ্র________।

6.জাপানের বৃহত্তম শহর________।

7._______হল জাপানের সর্ববৃহৎ বন্দর।

8.রোজ উড ,আয়রন উড, রবার ,আবলুস________জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ।

9.ইয়াংসি নদীটি পর্বতের_______ একটি হিমবাহ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

10._______শহর জাপান সরকার কর্তৃক আদর্শ পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

উওর: 1.এশিয়া মহাদেশ , 2.তিব্বতের মানস সরোবর।, 3. তৈগা, 4. হুনান প্রদেশ।, 5.ঘাওয়ার, 6. টোকিও , 7. ইয়োকোহামা , 8. নিরক্ষীয় , 9. কুয়েনলুন , 10. ইয়োকোহামা।

উওর: পৃথিবীর স্থলভাগের তিএ ভাগের এক ভাগ জুড়ে আছে জনবহুল এশিয়া মহাদেশ। এই মহাদেশের বিশালতা ছাড়াও এ মহাদেশের পর্বতশ্রেণী, বৃহৎ মালভূমি, বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি, আর উর্বর নদী উপত্যকা এই সমস্ত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এশিয়া মহাদেশের বিদ্যমান যা অন্য কোন মহাদেশের নেই ,তাই এশিয়াকে চরম বৈশিষ্ট্যের মহাদেশ বলা হয়।

উওর: এই নদী গুলির মোহনা উচ্চ অক্ষাংশের হিমমণ্ডল অবস্থিত ফলে বছরের আট থেকে নয় মাস বরফে আবৃত থাকে। শরৎও বসন্তকালে পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টি বেশি হলে ওই জল নদী মোহনার বরফে বাধা পেয়ে বন্যা সৃষ্টি করে।

উওর: হোয়াংহো নদীকে পীত নদী বলে। কারণ -গোবি মরুভূমির হলুদ বালি হোয়াংহো নদীতে মিশে যায় ফলে এই নদী হলুদ রঙের পলিযুক্ত জল বহন করে তাই একে পীত নদী বলে।

উওর: ইচাং থেকে হুনান পর্যন্ত মধ্য ইয়াংসি অববাহিকাটি উর্বর সমতল ভূমি। এ অঞ্চলটিতে উর্বর নবীন পলিমাটি থাকার জন্য এখানে খুব ভালো কৃষিকাজ হয়। প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয় এর জন্য একে ধানের গোলা বলে। ধান ছাড়া এখানে গম, কার্পাস, আখ, তৈলবীজ প্রভৃতি ফসল যথেষ্ট পরিমাণে চাষ করা হয় এই ধরনের শস্য এই অববাহিকায় সবচেয়ে বেশি হয় বলে একে চীনের শস্য ভান্ডার বলে।

উওর: OPEC অর্থাৎ Organisation of Petroleum Exporting Countries. খনিজ তেলের রপ্তানি নীতি নির্ধারণ এবং বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার জন্য অপেক্ষা গঠিত হয়।
কোন দেশ কত পরিমানে খনিজ তেল বিদেশে বিক্রি করবে অর্থাৎ বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের মূল্য নির্ধারণ করে ওপেক। পৃথিবীর প্রধান প্রধান তৈল উৎপাদক দেশ এর সদস্য। বর্তমানে ওপেকের সদস্য সংখ্যা ১১ টি দেশ।

উত্তর বাহিনী নদীদক্ষিণ বাহিনী নদী
1.উত্তর বাহিনী নদীগুলোতে প্রায় বন্যা হয়।1.দক্ষিণ বাহিনী নদীগুলির নিম্ন গতিতে বর্ষাকালে বন্যা দেখা যায়।
2.উত্তর বাহিনীর নদী উপত্যকা জনবিরল।2.দক্ষিণ বাহিনী নদী উপত্যকা ঘন জনবসতিপূর্ণ।
3.এই নদীগুলি যাতায়াতের অনুপযোগী।3.নদীগুলি পরিবহন ও শেষের কাজে বিশেষ উপযোগী।

উওর: বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরূপ –

i.নগর পরিকল্পনার ব্যাপারে গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত এই শহর।

ii.জাপান সরকার কর্তৃক (২০০৮ সালে) আদর্শ পরিবেশ-বান্ধব শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

iii.শিল্প-দূষণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।

iv.শিল্পের পাশাপাশি কৃষিকাজকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

v.বর্জ্য পদার্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

vi.পতিত জমি পুনরুদ্ধার এবং জমির পুনর্বিন্যাসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলে
ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চল

উওর: বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরূপ – i.এই নদীগুলিতে প্রায়ই বন্যা হয়।
ii.এই নদী উপত্যাগুলি জনবিরল।
iii.এই নদী গুলির মোহনা উচ্চ অক্ষাংশে হিমমণ্ডল অবস্থিত বলে বছরে ৮ থেকে ৯ মাস বরফ দ্বারা আবৃত থাকে।
iv.উত্তর বাহিনী গুলির মধ্যে দীর্ঘতম নদী হল লেনা নদী।

উওর: ইয়াংসি নদী অববাহিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণ গুলি নিম্নরূপ-
i.কৃষির উন্নতি: এখানে সকল ধরনের শস্য যেমন ধান,গম, কার্পাস, আখ, তৈলবীজ প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় তার জন্য একে চীনের শস্য ভান্ডারও বলা হয়।
ii.খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য: ইয়াংসি নদী অববাহিকা কয়লা, আকরিক লোহা, তামা, দস্তা ,টাংস্টোন প্রভৃতি খনিজে ভরপুর যা এই অববাহিকাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
iii.উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা: বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি থাকার কারণে এখানে যথেষ্টই উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা আছে যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সহযোগী।
iv.বন্দরের সান্নিধ্য: ইয়াংসি নদী অববাহিকার উল্লেখযোগ্য বন্দর গুলির মধ্যে সাংহাই, নানকিং, চুংকিং বন্দর বিদ্যমান যা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
v.শিল্পের উন্নতি: এ নদী অববাহিকা লৌহ ইস্পাত রাসায়নিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ রেশম ও বস্ত্র বয়ন শিল্পে যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা রাখে।

ইয়াংসি নদী
ইয়াংসি নদী

উওর: ভূমধ্যসাগরের তীরে সিরিয়াল লেবানন তুরস্ক ইসরাইল জর্ডান প্রভৃতি দেশে ভূমধ্যসাগরের জলবায়ু দেখা যায়।এর বৈশিষ্ট্য গুলি হল-

  • এখানে গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা ২১°-২৭°c থাকে।
  • শীতকালে উষ্ণতা কমে ৫°-১০°c পৌঁছায়।
  • পশ্চিমা ভাইয়ের প্রভাবে এখানে শীতকালে প্রায় ৩০-৫০ সেমি বৃষ্টিপাত হয়।
  • এই জলবায়ু অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ফল চাষ যেমন- জলপাই ,আঙ্গুর ,লেবু ,খেজুর , ডুমুরপ্রভৃতি চাষ হয় ফলে ভূমধ্যসাগরের জলবায়ু অঞ্চলকে ফলের ঝুড়ি বলে।

উওর: i. নদী অববাহিকা ঘনবসতিপূর্ণ।
ii. নদীগুলি নিম্নপ্রবাহে পলি সঞ্চয় করে সমভূমি গড়ে তুলেছে, ফলে এখানে কৃষি ও শিল্পের উন্নতি ঘটেছে।
iii. ইয়াংসি নদীকে স্বর্ণ রেণুর নদী বলে।
iv. হোয়াং হো নদী হলুদ রঙের পলিযুক্ত জল বহন করে বলে একে পীত নদী বলে।

১ম অধ্যায় : পৃথিবীর পরিক্রমণ 👉 Click Here

২য় অধ্যায় : ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় 👉 Click Here

৩য় অধ্যায় : বায়ুর চাপ 👉 Click Here

Please Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!