GEOFACTS

আপনার অবশ্যই জানা উচিত পৃথিবীর সুন্দরতম নদী কোনটি?

পৃথিবীর সুন্দরতম নদী হল ‘কানো ক্রিস্টালে’ (Caño Cristales)।’কানো ক্রিস্টালে’ নদীটি দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ায় অবস্থিত। কলম্বিয়ার ওরিনোকো নদী অববাহিকার অন্তর্গত গুয়াবেরো (Guayabero) নদীর উপনদী হল কানো ক্রিস্টালে নদী, যার দৈর্ঘ্য 100km.এই নদীর বৈচিত্র্যময় রঙের জন্য একে রামধনুর সাথে তুলনা করে ‘Liquid Rainbow’ বলা হয়ে থাকে।

কানো ক্রিস্টালে, Caño Cristales
কানো ক্রিস্টালে

এই নদীতে ‘পডোস্টেমেসি'(Podostemaceae) পরিবারের ‘ম্যাকেরেনিয়া ক্লাভিজেরা’ নামক উজ্জ্বল লাল রঙের উদ্ভিদের উপস্থিতি নদীকে রঙিন ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে। এটি মূলত প্রবাহমান জলধারার মাঝে শিলাগাত্রে শক্তভাবে লেগে থাকে। উদ্ভিদটির বৃদ্ধির জন্য সূর্যালোকের প্রয়োজন ফলে বর্ষাকালে জলতল বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সূর্যালোক না পাওয়ায় উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

বর্ষা শেষে, জুলাই মাসের শেষ থেকে নভেম্বর মাস নদী উপত্যকা লাল, হলুদ, সবুজ, নীল, কালো রঙে ভরে ওঠে, যার কারণে একে ‘River of Five Colours‘ বলেও ডাকা হয়।এক্ষেত্রে 5 টি রঙের জন্য উজ্জ্বল লাল ‘ম্যাকেরেনিয়া ক্লাভিজেরাশৈবাল, হলুদ বালি, সবুজ জলজ উদ্ভিদ, নীল জল এবং কালো শিলাকে দায়ী করা হয়।পৃথিবীর সুন্দরতম নদীর জল এতোটাই স্বচ্ছ যে নদীর নদীর তলদেশ পর্যন্ত স্পষ্ট দৃশ্যমান। স্বচ্ছতার কারণ হিসেবে পরিপোষক পদার্থ ও কণার অনুপস্থিতিকে ধরা হয়। এই নদী পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ।

পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র নদী হল ‘রো’ (Roe River). নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২০১ ফুট বা ৬১ মিটার। একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ডি নদীকে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম নদী বলা হত। এই নদী ডেভিলস হ্রদ থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছিল ৪৪০ ফুট বা ১৩৪ মিটার। ১৯৮৯ মানুষরো নদীর সন্ধান পায় যার দৈর্ঘ্য মাত্র ২০১ ফুট। ফলে ডি নদীর পরিবর্তে ক্ষুদ্রতম নদীর তকমা পায় ‘রো’ (Roe River) নদী। এই নদীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানাতে অবস্থিত জায়ান্ট স্প্রিং থেকে উৎপত্তি হয়ে মিশৌরি নদীতে পতিত হয়েছে।২০০৬ সালে ‘রো’ নদীটি ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্রতম নদী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

আমাদের প্রত্যেকের জানা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হলো নীলনদ যা আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত যার দৈর্ঘ্য ৬৬৫০ কিমি। আফ্রিকা মহাদেশের মোট জলপ্রবাহের প্রায় ১০ ভাগ জলই নীলনদ একাই বহন করে। দুটি প্রধান জলধারার সমন্বয়ে নীল নদীটি তৈরি হয়েছে। একটি হল হোয়াইট নীল এবং অন্যটি হল ব্লু নীল। অর্থাৎ হোয়াইট নীল ও ব্লু নীলের মিলিত প্রবাহ হল নীলনদ।

এশিয়া মহাদেশের দীর্ঘতম নদী হল ইয়াংসি , যার দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিমি। ইয়াংসি নদীটি কুয়েনলুন পর্বতের দক্ষিণে গোলাডানডং পর্বতশৃঙ্গের একটি হিমবাহ থেকে সৃষ্টি হয়ে পূর্ব চীন সাগরে পতিত হয়েছে।

আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত আপডেট পেতে Webbhugol.com টি ফলো করুন এবং আপনার ভূগোল শিক্ষাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। বহু অজানা তথ্য আপনার সামনে আমরা তুলে ধরি। আমাদের পোস্টে কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।


Please Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!