WBSLST/WBSSC

GEOMORPHOLOGY MOCK TEST

এখানে নিয়মিত অনলাইন মক টেস্ট আপডেট করা হবে। WBSSC পরীক্ষা প্রস্তুতির নির্ধারিত সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী প্রশ্ন করা হয়েছে ফলে এই মক টেস্ট গুলি ভালো ফলাফলের জন্য খুবই ফলপ্রসু হবে।

Syllabus: Weathering; Mass Wasting; Landform and Process (Fluvial, Glacial, Wind, Karst and Marine); Normal Cycle of Erosion; Rejuvenation.

Syllabus For IX-X Level : আবহবিকার (Weathering) ; পুঞ্জিত ক্ষয় (Mass Wasting) ; সৃষ্ট ভূমিরূপ ও প্রক্রিয়া (Landforms and Process); নদী (Fluvial); হিমবাহ (Glacier Landforms ); বায়ু (Wind); কাস্ট (Karst) ; সমুদ্র তরঙ্গ (Sea wave) ; স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র (Normal cycle of Erosion); পুনরযৌবন লাভ ( Rejuvenation).

GEOMORPHOLOGY MOCK TEST
GEOMORPHOLOGY MOCK TEST

আবহবিকার (weathering):

উত্তর: আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান (উষ্মতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত) এবং বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস (O2, CO₂) দ্বারা শিলাস্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বা বিয়োজিত হয়ে মূল শিলার ওপর বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অবস্থান করে, তাকে আবহবিকার বলে। এটি তিন প্রকার-যান্ত্রিক, রাসায়নিক ও জৈবিক। এক্ষেত্রে উৎপন্ন পদার্থের স্থানান্তর হয় না, স্বস্থানে অবস্থান করে।

ক্ষয়ীভবন (Erosion):

উত্তর: আবহবিকারের মাধ্যমে উৎপন্ন ও মূল শিলার নিকটে থাকা শিলাচূর্ণ বা বিয়োজিত শিলা, যে প্রক্রিয়ায় নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ, অভিকর্ষীয় টান প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা অন্যত্র পরিবাহিত ও স্থানচ্যুত হয় তাকে ক্ষয়ীভবন বলে। এক্ষেত্রে ক্ষয় ও বহন কাজ একত্রে চলে। আবহবিকারের পরে এটি ঘটে এবং ভূমিরূপের নগ্নীভবনে সহায়তা করে।

নগ্নীভবন (Denudation):

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিত ক্ষয় সম্মিলিতভাবে ভূপৃষ্ঠে শিলান্তরকে চূর্ণবিচূর্ণ বা বিয়োজিত করে, শিলাচূর্ণ বা বিয়োজিত শিলাকে পরিবহন করে, স্থানচ্যুত করে, নিম্নস্থ প্রাচীন শিলাকে ভূপৃষ্ঠে উন্মোচিত করে এবং ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় তাকে নগ্নীভবন বলে। এটি আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের পরে ঘটে।

স্ক্রী: পার্বত্য অঞ্চলের তুষার ও জলের পারস্পরিক ক্রিয়ায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তীক্ষ্ণ বিশিষ্ট যে সমস্ত প্রস্তরখন্ড সৃষ্টি হয় তাকে স্ক্রী বলে।
ট্যালাস: পাহাড়ি ঢালে যান্ত্রিক আবহবিকার এর ফলে বিভিন্ন আকার ও আয়তনের যে সমস্ত প্রস্তর খন্ডের সৃষ্টি হয় তাকে ট্যালাস বলে।
হানি কম্ব: আবহবিকার প্রাপ্ত শিলায় ফাটল গুলির আয়রন অক্সাইড দ্বারা ভরাট হয়ে যায় বেলেপাথরের ফাটল গুলি এই ধরনের আয়রন অক্সাইড ভরাট হলে তাকে Honey Comb বলে।

স্পালিং আবহবিকার : যে যান্ত্রিক আবহবিকার প্রক্রিয়ায় কোনো স্থানে ক্ষয়জাত শিলাস্তূপ অবক্ষেপণ যা নতুন হিমবাহ সৃষ্টির ফলে প্রবল নিম্নমুখী চাপে শিলাস্তর একটি কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন দিকে কোনাকুনি ভাবে ফাটল সৃষ্টি হয়ে শিলা খণ্ডবিখণ্ড হয়, তাকে স্পালিং বলে।

    • আবহবিকার ও পুঞ্জিতক্ষয় – Click Here
    • নদীর কার্য ও সৃষ্ট ভূমিরূপ – Click Here
    • হিমবাহের কার্য ও সৃষ্ট ভূমিরূপ – Click Here
    • বায়ুর কার্য ও সৃষ্ট ভূমিরূপ – Click Here

    অ্যাকুইফার: অ্যাকুইফার বলতে সেই প্রবেশ্য শিলাস্তরকে বোঝায় যা সর্বদা ভৌমজল ধারণ করে ও সম্পৃক্ত থাকে।

    মরু ভার্নিস: মরু অঞ্চলের সিলা খন্ডের উপর কমলা বাদামী আস্তরনকে মরু ভার্নিস বলে।এই ভার্নিস প্রধানত কাদা, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড দ্বারা গঠিত‌। ব্যাসল্ট, কোয়ার্জাইট শিলায় এটা দেখা যায়।
    নিশে: স্থানীয় ফ্লেকিং এবং ক্ষুদ্র কণা বিশরণ প্রভৃতি কারণে বৃহদায়তন গুহা তৈরি হয়। এগুলোকে নিশে বলে। আবার কখনো কখনো এদের অ্যালকোভ বলা হয়।

    আবহিক জল : বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প, তুষার, বৃষ্টি ইত্যাদি রূপে পতিত হয়ে ভূ-অভ্যন্তরে চুঁইয়ে প্রবেশ করে যে জল সঞ্চিত হয়। এই জলই ভৌমজলের প্রধান উৎস।
    সহজাত জল: পাললিক শিলা গঠনকালে শিলাস্তরের মধ্যে আবদ্ধ বা জমে থাকা জল।
    উৎস্যন্দ জল : অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূগর্ভ থেকে নির্গত জল।
    মহাসাগরীয় জল : সমুদ্র উপকূলের শিলারন্ধ্রে বা ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশ দিয়ে চুঁইয়ে সঞ্চিত জল। এই জল অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে।
    ফ্রিয়েটিক জল: ভূপৃষ্ঠের অসম্পৃক্ত স্তরের নীচে সম্পৃক্ত স্তরের মধ্যে প্রবাহিত জল। সম্পৃক্ত স্তরই হল ভৌমজলের প্রকৃত আধার বা ভান্ডার।
    ভাদোস জল: ভূপৃষ্ঠের অসম্পৃক্ত ভাদোস স্তরের মধ্যে প্রবাহিত জল। ভাদোস জল সম্পৃক্ত স্তরে ফ্রিয়েটিক জলে পরিণত হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে এই জল গুরুত্বপূর্ণ। সম্পৃক্ত স্তরই ভৌমজলের প্রকৃত ভান্ডার।

    কার্স্ট গুহা
    কার্স্ট গুহা

    কার্স্ট ভূমিরূপ: ভৌমজলের ক্ষয় ও সঞ্চয়ের ফলে চুনাপাথর, ডলোমাইট, চক প্রভৃতি দ্রাব্য শিলাগঠিত অঞ্চলে গঠিত বিভিন্ন ভূমিরূপ।
    টেরা রোসা : কার্স্ট অঞ্চলে চুনাপাথরের অদ্রাব্য গঠনের লাল রঙের অনুর্বর আম্লিক কাদা বা মৃত্তিকা।
    কারেন বা ল্যাপিস: অপ্রবেশ্য ও খাড়া ঢালযুক্ত চুনাপাথরের দ্রবণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অসংখ্য দীর্ঘ গর্ত বা খাঁজ। যুগোশ্লাভিয়ায় বোগাজ ও ফরাসি ভাষায় ল্যাপিস বলে। জার্মান ভাষায় কারেন বলে।
    গ্রাইক : চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে দারণযুক্ত শিলায় দীর্ঘ বৃহৎ খাত বা খাঁজকে গ্রাফিক বলে।
    ক্লিন্টস: গ্রাইকের দীর্ঘ দ্রবণ খাতের মাঝে মাঝে চাইয়ে রাখারে উঁচুশীলাখণ্ড ফাটল দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকলে সেগুলোকে ক্লিন্ট বলে।

    কার্স্ট ভূমিরূপ, karst topography,

    সিঙ্ক হোল: কার্স্ট দ্রবণ কার্যে সৃষ্ট স্থানে স্থানে ধসের ফলে সৃষ্ট প্রাথমিক ফানেল আকৃতির গর্তকে সিঙ্ক হোল বলে।সিঙ্ক হোলকে ফ্রান্সে সচ্ বলে।
    সোয়ালো হোল: কার্স্ট অঞ্চলে দ্রবণ কার্যে সৃষ্ট স্থানে স্থানে ফানেল আকৃতির সিঙ্ক হোল অপেক্ষা বড় উন্মুক্ত মুখের ছিদ্র বা গর্ত।
    ডোলাইন: কার্স্ট অঞ্চলে দ্রবণ কার্যে সৃষ্ট অনেকগুলি সিঙ্ক হোল অথবা সোয়ালো হোল একত্র মিলিত হয়ে বৃহৎ আবদ্ধ গর্ত সৃষ্টি করে সেগুলোকে ডোলাইন বলে।
    কার্স্ট হ্রদ: ডোলাইনের তলদেশে অন্তঃধৌত কাদা সঞ্চিত হয়ে গর্তমুখ বন্ধ হয়ে জল জমে সৃষ্ট হ্রদ। উভালা: একাধিক ডোলাইনের সন্ধিস্থল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সংযুক্ত হলে যে বিস্তৃত গর্তে সৃষ্টি হয় তাকে উভালা বলে।

    পোলজি: কার্স্ট অঞ্চলের উভালা অপেক্ষা বৃহৎ, দীর্ঘায়িত, খাড়া পার্শ্বঢালযুক্ত সমতলবিশিষ্ট আবদ্ধ গর্ত পোলজি নামে পরিচিত।
    হামস: পোলজির ওপরে ক্ষয়প্রাপ্ত অবশিষ্ট টিলা। এর অপর নাম রাবণভাটা,পেপিনো হিলস,হে স্ট্যাক।

    স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র: প্রাথমিকভাবে ডেভিসের ক্ষয়চক্রটিকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলা হয় কারণ নদীর ক্ষয়কার্য কেবল মেরু ও মরু অঞ্চল বাদে পৃথিবীর সব স্থানে লক্ষ্য করা যায়।
    Geographical Eassy গ্রন্থটি লেখেন- উইলিয়াম মরিস ডেভিস।
    ‘Cyclic Nature of earth history’-ধারণার প্রবক্তা জেমস হাটন।
    ‘Erosion can not wait for the completion of upliftment’ বলেন- ডাব্লিউ পেঙ্ক (১৯২৪)।

    ভৌগোলিক ক্ষয়চক্র (Normal Cycle erosion):

    (1899-1910) ডেভিস তাঁর ‘ভৌগোলিক ক্ষয়চক্র’ মতবাদ কে বিভিন্ন নামে নামকরণ করেছে। ভৌগোলিক চক্র (Geographical Cycle), স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র (Normal cycle of erosion), নদী ক্ষয়চক্র (Fluvial Cycle)। ডেভিস এর মতে, নদীর কাজ পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় এবং সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাই নদী ক্ষয়চক্রকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলে।

    পুনর্যৌবন লাভ (Rejuvenation ): ক্ষয়চক্রের বাধার ফলে কোন কারনে নদী পুনরায় নিম্নক্ষয় করার ক্ষমতা ফিরে পেলে, তখন তাকে নদীর পুনর্যৌবন লাভ বলে।

    মোনােডনক: স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে সমপ্রায়ভূমিতে যে শক্তশিলা দ্বারা গঠিত অবশিষ্ট টিলা বা পাহাড় দেখা যায় তাকে মোনােডনক বলে। মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে সৃষ্ট অবশিষ্ট টিলা আকৃতির পাহাড়কে ইনসেলবার্জ বলে। [L.C. King এর মতে এটি পরিণত পর্যায়ে দেখা যায়।]

    পেনিপ্লেন: স্বাভাবিক ক্ষয় চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে সৃষ্ট প্রায় ঢালহীন সমতল ভূমি। সমপ্রায়ভূমির উপর মোনাডনক লক্ষ করা যায়। পেনিপ্লেন ধারণা ডেভিস দিয়েছিলেন‌।
    পেডিপ্লেন: মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য অবস্থায় সৃষ্ট সমতলভূমিকে এল সি কিং পেডিপ্লেন নামে অভিহিত করেছেন। এই পেডিপ্লেনের ওপর ইনসেলবার্জ অবস্থান করতে দেখা যায়।

    প্যানপ্লেন: 1933 সালে সি. এইচ. ক্রিকমে তাঁর ‘অসম বিকাশতত্ত্ব’ নামক ধারনায় ক্ষয়চক্রের পরিণত পর্যায়ে বেশ কয়েকটি প্লাবন ভূমিযুক্ত সমভূমির কথা বলেছেন, এটি ‘প্যানপ্লেন’ নামে পরিচিত। এখানে খাড়াঢালযুক্ত মোেনডনক দেখতে পাওয়া যায়।

    প্রাইমারাম্ফ: পেঙ্ক-এর ক্ষয়চক্র ধারনায় বলা হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উত্থিত প্রাথমিকপর্বের ভূমিরূপ হল প্রাইমারাম্ফ (primarumf) ।

    টম্বোলো: এক বা একাধিক দ্বীপকে স্থলভাগের সঙ্গে সংযোগকারী বাঁধ। যখন কোনো এক সামুদ্রিক বাঁধ কোনো একটি অথবা দুটি দ্বীপকে উপকূলের সঙ্গে সংযুক্ত করে, তখন ওইরূপ বাঁধকে টম্বোলো বলে। ‘Tombolo’ কথাটি একটি ইতালীয় শব্দ ‘Tombola’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘দ্বীপ সংযুক্তকারী বাঁধ’।
    ক্লাপোটিস: সমুদ্র থেকে উপকূলে আসার তরঙ্গ এবং উপকূল থেকে সমুদ্রে ফিরে যাওয়া তরঙ্গের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে যে দন্ডায়মান তরঙ্গে সৃষ্টি হয় তাকে ক্লাপোটিস বলে ।

    ফেচ: বায়ু যে পরিমাণ দূরত্ব উন্মুক্ত সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছে তাকে ফেচ বলে। ফেচের দৈর্ঘ্যের উপর সমুদ্র তরঙ্গের উচ্চতা নির্ভর করে।

    পুরোদেশীয় বাঁধ: উপকূলের সমান্তরালে যে বাঁধ গড়ে ওঠে। ভারতের কেরল উপকূলে বহু পুরোদেশীয় বাঁধ দেখা যায়।

    For More Update Follow Our Website 👉 Webbhugol.com

    Please Share

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    error: Content is protected !!