H.S GEOGRAPHY

সেমিস্টার 3 জীবমন্ডল | Class 12 Semester 3

জীবমন্ডল: জীবমন্ডল বা Biosphere শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Bios‘ অর্থ জীবন ও ল্যাটিন শব্দ ‘Sphaere’ অর্থ মন্ডল অর্থাৎ জীবমন্ডল অর্থে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্বের ক্রিয়াশীল অঞ্চল।

জীবমন্ডল, biosphere, bhugol
জীবমন্ডল
  • জীবমণ্ডল কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন এডওয়ার্ড সুয়েস।
  • জীবমণ্ডল সম্পর্কিত আধুনিক তত্ত্বের জনক বলা হয় ভ্লাদিমির ভার্নাদস্কিকে।
  • Bio geography গ্রন্থটি লেখেন জে. টিভি
  • ‘ইকোলজি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন আর্নেস্ট হেকেল
  • বাস্তুবিদ্যার জনক আর্নেস্ট হেকেল
  • ‘ইকোসিস্টেম’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন এ.জি. ট্যান্সলে
  • ইকোক্লাইন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-হুইটেকার
  • শক্তি প্রবাহ মডেল এর প্রবক্তা রেমন্ড লিন্ডেম্যান।
  • বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ধারণা দেন চার্লস এলটন।
  • ইকোলজিক্যাল নিচ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-জে.গ্রীনাল।
শক্তি প্রবাহ
শক্তি প্রবাহ

বাস্তুতন্ত্র: জীবের আবাসস্থল সম্পর্কিত আন্তঃসম্পর্ক।

প্যারাবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের প্রতিকুল অঞ্চল।

বায়োম: কোন একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে উদ্ভিদ ও প্রাণী জলবায়ুর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বৃহত্তম বাস্তুতান্ত্রিক একক গড়ে তোলে তাকে বায়োম বলে। যেমন তৈগা বায়োম।

ইকোটন: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ভিন্ন প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী স্থানে যে পরিবর্তনশীল অঞ্চল। যেমন পার্কল্যান্ড সাভানা।

ইকোটন

ইকোক্লাইন: দুটি পাশাপাশি অবস্থিত বাস্তুতন্ত্রে যখন কোন সীমারেখা থাকে না তখন একটি বাস্তুতন্ত্র অন্য বাস্তুতন্ত্র টির যে জীব সম্প্রদায়ের পরিবর্তন বা ঢাল লক্ষ্য করা যায় তাকে ইকোক্লাইন বলে।
ইকোসিস: কোন বাস্তুতন্ত্র থেকে অপর বাস্তুতন্ত্রের আগত জীব যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে অপর বাস্তুতন্ত্রে অভিযোজিত হয় তাকে ইকোসিস বলে।
ইকোলজিকাল নিচ: কোন বাস্তুতন্ত্রে জীবের খাদ্য সংগ্রহের এলাকাকে ইকোলজিকাল নিচ বলে। যেমন মৌমাছির ইকোলজিক্যাল নিচ ফুল।

হোমিওস্ট্যাটিস: কোন একটা নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে জড় উপাদান গুলির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সজীব উপাদানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার যে পরিবর্তন ঘটিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে সে অবস্থাকে হোমিওস্ট্যাটিস বলা হয়। যেমন-শীতকালে গিরগিটি রোদ পোহানো।

এনবায়োস্ফিয়ার: পৃথিবীর জীব বসবাসের অনুকূল অঞ্চল অর্থাৎ প্যারাবায়োস্ফিয়ার বাদে বায়োস্ফিয়ারের অংশ।
নেকটন: যে সমস্ত প্রাথমিক খাদক প্রাণী জলাভূমির বাস্তুতন্ত্রের ভেসে বেড়ায় তাকে নেকটন বলে।
বেনথস: যে সমস্ত প্রাণী জলাভূমির তলদেশে বসবাস করে তাদের বেনথস বলে। যেমন ঝিনুক, শামুক।
বায়োটা: কোন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত বাস্তুতন্ত্রের সমগ্র প্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের সমষ্টিকে বায়োটা বলে।
‌বায়োমাস বা জীবভর: যেকোনো একটি ট্রফিক লেভেলের সজীব বস্তুর শুষ্ক ভরকে জীবভর বা বায়োমাস বলে।

জীবমন্ডল,Biosphere
জীবমন্ডল

লেন্টিক বাস্তুতন্ত্র: স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র কে লেনটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন-হ্রদ, দিঘি, পুকুর, জলাশয়।
লোটিক বাস্তুতন্ত্র: প্রবাহমান জলের বাস্তুতন্ত্র কে লোটিক বাস্তুতন্ত্র বলে। যেমন – নদী।

খাদ্য পিরামিড: নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে সমস্ত খাদককে পরপর সাজালে যে পিরামিড পাওয়া যায়।
খাদ্য শৃঙ্খল: একটি বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক থেকে প্রত্যেক শ্রেণীর খাদকের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক।
খাদ্যজাল: অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খল আন্তঃসম্পর্কযুক্ত হয়ে খাদ্যজাল তৈরি করে।

চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্য শক্তির সবুজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে তৃণভোজী প্রাণী ও ধাপে ধাপে মাংসাশী প্রাণীর মধ্যে প্রবাহিত হয় তাকে গ্রেজিং বা চারণভিত্তিক খাদ্য শৃঙ্খল বলে‌ । যেমন- উদ্ভিদ> হরিণ> বাঘ
শিকারি খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্যশৃঙ্খলে প্রাথমিক খাদক অর্থাৎ তৃণভোজী থেকে খাদ্যশৃঙ্খল শুরু হওয়ার পর খাদ্যখাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে বৃহত্তর মাংসাশী প্রাণীতে শেষ হয়। যেমন-ঘাসফড়িং (প্রাথমিক খাদক) > ব্যাং (গৌণ খাদক)> সাপ (প্রগৌণ খাদক) >বাজপাখি (সর্বোচ্চ খাদক)
পরজীবী খাদ্য শৃঙ্খল: যে খাদ্য শৃঙ্খলে খাদ্যখাদক সম্পর্ক বৃহৎ প্রাণী যাকে হোস্ট বলে এ থেকে শুরু হয় এবং ক্ষুদ্র প্রাণীতে শেষ হয় তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন- মানুষ (হোস্ট)> কৃমি >বিয়োজক।

স্বভোজী বা উৎপাদক: যে সমস্ত জিম সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া নিজেরা খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম। যেমন -সবুজ উদ্ভিদ।
খাদক বা পরভোজী: একটি বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত যে সমস্ত জীবকুল নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না খাদ্যের জন্য উৎপাদক এর উপর নির্ভর করে তাদের খাদক বা পরভোজী বলে। যেমন- অধিকাংশ প্রাণী।
মোট প্রাথমিক উৎপাদন (Gross Primary Production/GPP): সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ যে পরিমাণ শক্তি নিজের দেহে আবদ্ধ রাখে তাকে GPP বলে।
নীট প্রাথমিক উৎপাদন(Net Primary Production/NPP): মোট প্রাথমিক উৎপাদনের কিছু পরিমাণ শক্তি উদ্ভিদ তার বিপাকীয় কাজে খরচ করার পর অবশিষ্ট যে শক্তি থাকে তাকে NPP বলে।

উল্টানো পিরামিড: জলজ ও পরজীবী জীবদের শীর্ষস্থান থেকে নিচের স্তর থেকে জীবভর ক্রমশ কমতে থাকে ফলে পিরামিড উল্টো দেখায়।

ডেট্রটাস: ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, প্রভৃতি বিয়োজক উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ ,জৈব আবর্জনা, জৈব বর্জ্য পদার্থ যখন আংশিকভাবে পচিয়ে ফেলে তখন ওই অসম্পূর্ণ অর্ধবিয়োজিত পদার্থকে ডেট্রটাস বলে।

ডেট্রিভোর: যেসব ছোট ছোট প্রাণী অর্ধ-বিয়োজিত পদার্থ বা ডেট্রটাস খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের ডেট্রিভোর বলে। যেমন কেঁচো, কৃমি, পিঁপড়ে উই প্রভৃতি।

অটোইকোলজি: একটা জীব বা একটি প্রজাতি জনসংখ্যার সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক অধ্যয়নকে অটোইকোলজি বলা হয়। যেমন সুন্দরবনের বাঘ প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।
সিনইকোলজি: পরিবেশের সঙ্গে কোনো জীব সম্প্রদায় বা জীবগোষ্ঠীর সম্পর্ক অধ্যায়ন হলো সিনইকোলজি। যেমন সুন্দরবনের সমস্ত জীব প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যায়ন।

জৈব অক্সিজেন চাহিদা (B.O.D): Biological Oxygen Demand. জলে উপস্থিত জৈব উপাদান কে অনুজীবের সাহায্যে বিয়োজনের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার তাকে জৈব অক্সিজেন চাহিদা বলে।

স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ , ecosystem, bhugol
স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ

1.যে সমস্ত জীব মৃত জন্তু ও উদ্ভিদ এর দেহাবশেষ খেয়ে জীবনধারণ করে তাদের বলে-
a.হারবিভোর
b.কার্নিভোর
c.ওমনিভোর
d.ডেট্রিভোর

Ans:d.ডেট্রিভোর
2.বাস্তুতন্ত্র কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
a.আরনেস্ট হেকেল
b.এ.জি, ট্যান্সলে
c.ওডাম
d.লিন্ডেম্যান

Ans:b.এ.জি, ট্যান্সলে

3.বাস্তুতন্ত্রের শক্তির প্রধান উৎস কোনটি?
a.সূর্য
b.জল
c.অক্সিজেন
d.বায়ু

Ans:a.সূর্য

4.দুটি ভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের মধ্যবর্তী মধ্যবর্তী পরিবর্তনশীল মিশ্র বাস্তুতন্ত্র কে বলে?
a.ইকোটন
b.ইকোক্লাইন
c.হ্যাবিট্যাট
d.স্ট্যান্ডিং কর্প

Ans:a.ইকোটন

5.পৃথিবীর বৃহত্তম বাস্তুতন্ত্র হল-
a.বারিমন্ডল
b.শিলামন্ডল
c.বায়োম
d.জীবমন্ডল

Ans:d.জীবমন্ডল

6.বাস্তুতন্ত্রের শক্তি প্রবাহ সর্বদা-
a.একমুখী
b.ত্রিমুখী
c.বহুমুখী
d.কোনোটিই নয়

Ans:a.একমুখী

7.ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার-
a.প্রাথমিক খাদক
b.গৌণ খাদক
c.প্রগৌন খাদক
d.বিয়োজক

Ans:d.বিয়োজক

8.বাস্তু তন্ত্রের খাদ্যের যোগান সংক্রান্ত স্তরকে বলে-
a.খাদ্যজাল
b.খাদ্য শৃঙ্খল
c.জীবন মন্ডল
d.ট্রপিক লেভেল

Ans:d.ট্রপিক লেভেল

9.ইকোলজি বা বাস্তুবিদ্যার জনক হলেন
a.হেকেল
b.সুয়েস
c.রিটার
d.ট্যান্সলে

Ans:a.হেকেল

10.একই পুষ্টি স্তরে অবস্থান করে-
a.বাঘ ও ভাল্লুক
b.হরিণ ও গরু
c.সাপ ও কেঁচো
d.ব্যাকটেরিয়া ও মানুষ

Ans:b.হরিণ ও গরু

11.বাস্তুতন্ত্রে খাদ্যজাল সর্বদা-
a.একমুখী
b.ত্রিমুখী
c.বহুমুখী
d.কোনোটিই নয়

Ans:c.বহুমুখী

12.স্থির জলের বাস্তুতন্ত্র-
a.লোটিক বাস্তুতন্ত্র
b.লেনটিক বাস্তুতন্ত্র
c.নেকটন
d.বেনথস

Ans:b.লেনটিক বাস্তুতন্ত্র

13.বাস্তুতন্ত্রের উল্টানো পিরামিডের নিদর্শন দেখা যায়-
a.তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র
b.অরণ্যের বাস্তুতন্ত্রে
c.ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্রে
d.পরজীবী বাস্তুতন্ত্রে

Ans:d.পরজীবী বাস্তুতন্ত্রে

14.বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে ওপর পুষ্টি স্তরে শক্তি স্থানান্তরের পরিমাণ-
a.10%
b.20%
c.50%
d.90%

Ans:a.10%

15.বাস্তুতন্ত্রে উপস্থিত সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী কে একত্রে বলে-
a.উৎপাদক
b.খাদক
c.সজীব বা জৈব উপাদান
d.বিয়োজক

Ans:c.সজীব বা জৈব উপাদান

16.একটি পুষ্টি স্তরে জীব সম্প্রদায়ের পুষ্টি সংগ্রহের এলাকাকে বলে-
a.ইকোলজিক্যাল নিচ
b.বায়োমাস
c.বায়োটিক কমিউনিটি
d.এজ এফেক্ট

Ans:a.ইকোলজিক্যাল নিচ

17.দশ শতাংশ সূত্রের প্রবক্তা হলেন-
a.লিন্ডেম্যান
b.হেকেল
c.সুয়েস
d.ট্যান্সলে

Ans:a.লিন্ডেম্যান

18.জীবমণ্ডলের গড় বিস্তার কত?
a.10km
b.30km
c.100km
d.1000km

Ans:b.30km

19.বাস্তুতন্ত্রে একটি পুষ্টি স্তর থেকে অন্য পুষ্টি স্তরে শক্তি প্রবাহিত হওয়াকে বলে-
a.খাদ্য চক্র
b.খাদ্যশৃঙ্খল
c.খাদ্যজাল
d.পুষ্টি চক্র

Ans:b.খাদ্যশৃঙ্খল

20.একটি বাস্তুতন্ত্রে নিজেরাই নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে-
a.উৎপাদক
b.খাদক
c.বিয়োজক
d.পরজীবী

Ans:a.উৎপাদক

Update Soon…

ভূগাঠনিক বিদ্যা 👉 Click Here

ভূমিরূপ গঠনের শক্তি প্রক্রিয়া 👉 Click Here

বারিমন্ডল বা জলমন্ডলClick Here

জলবায়ু 👉 Click Here

Please Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!