ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন | Class vi 1st SUMMATIVE EVALUATION
GEOGRAPHY 1st SUMMATIVE EVALUATION (ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন )
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পাঠ্যসূচি
ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সিলেবাস
FULL MARKS: 30 (Holistic), TIME: 1HRS
১ম অধ্যায় | আকাশ ভরা সূর্য তারা |
২য় অধ্যায় | পৃথিবী কি গোল |
৩য় অধ্যায় | তুমি কোথায় আছো |
৪থ অধ্যায় | পৃথিবীর আবর্তন |
১০ম অধ্যায় | আমাদের দেশ ভারত (ভারতের সাধারণ পরিচয়) |
১০ম অধ্যায় | আমাদের দেশ ভারত (ভারতের ভূপ্রকৃতি ও নদনদী) |

ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
১ম অধ্যায় : আকাশ ভরা সূর্য তারা 👉 Click Here
২য় অধ্যায় : পৃথিবী কি গোল 👉 Click Here
৩য় অধ্যায় : তুমি কোথায় আছো 👉 Click Here
৪থ অধ্যায় : পৃথিবীর আবর্তন 👉 Click Here
১০ম অধ্যায় : আমাদের দেশ ভারত (ভারতের সাধারণ পরিচয়) 👉 Click Here
১০ম অধ্যায় : আমাদের দেশ ভারত (ভারতের ভূপ্রকৃতি ও নদনদী) 👉 Click Here
তিনটি পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচি
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন | দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন | তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন |
পাঠ একক/উপএকক | পাঠ একক/উপএকক | পাঠ একক/উপএকক |
১. আকাশ ভরা সূর্য তারা | ১. জল-স্থল-বাতাস | ১. বায়ুদূষণ |
২. পৃথিবী কি গোল | ২. বরফে ঢাকা মহাদেশ | ২. শব্দদূষণ |
৩. তুমি কোথায় আছো | ৩. আবহাওয়া ও জলবায়ু | ৩. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের কৃষিকাজ) |
৪. পৃথিবীর আবর্তন | ৪. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের জলবায়ু) | ৪. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের জনজাতি) |
৫. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের সাধারণ পরিচয়) | ৫. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের মাটি) | ৫. মানচিত্র |
৬. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের ভূপ্রকৃতি ও নদনদী) | ৬. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ) | |
৭. আমাদের দেশ ভারত (ভারতের অরণ্য , বন্যপ্রাণ) |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দেশিত পাঠ একক ছাড়াও তুমি কোথায় আছো, পৃথিবীর আবর্তন, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ভারতের ভৌগোলিক পরিবেশ (ভূপ্রকৃতি, নদনদী, মাটি, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, অরণ্য ও বন্যপ্রাণ) – পাঠ এককগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নে ৫ নম্বর মানচিত্র চিহ্নিতকরণের (ভারতের রেখামানচিত্রে ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ, প্রধান নদনদী, জলবায়ু অঞ্চল, গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ পথ, মৃত্তিকা ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ অঞ্চল) জন্য আবশ্যিক করতে হবে।
এখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল বিষয়ের অধ্যায় ভিত্তিক প্রথম পর্যায়ে ক্রমিক মূল্যায়ন, দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ও তৃতীয় পর্যায়ে ক্রমিক মূল্যায়ন এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর যথাযথভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচিত প্রশ্ন-উত্তর গুলি তোমরা যদি ভালোভাবে অনুশীলন করো তাহলে ষষ্ঠ শ্রেণীর প্রতিটা পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নে ভূগোল বিষয়ে তোমাদের ফলাফল খুব ভালো হবে এটা নিশ্চিত।পরিশেষে বলি তোমরা তোমাদের পাঠ্য বইটি খুব ভালো করে পড়বে তবেই ফলাফল খুব ভালো হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণি | বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের নমুনা
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
১.১ পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি-
(ক) কর্কটক্রান্তিরেখায়
(খ) সুমেরুবৃত্তরেখায়
(গ) নিরক্ষরেখায়
(ঘ) কুমেরু বিন্দুতে
১.২ সিঙ্কোনা গাছ জন্মায় পশ্চিমবঙ্গের প্রধানত
(ক) হুগলি জেলায়
(খ) বর্ধমান জেলায়
(গ) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়
(ঘ) দার্জিলিং জেলায়
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
২.১.১ হলো সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহাণু।
২.১.২ মালাবার উপকূলের উপহ্রদগুলোকে বলে।
২.২ স্তম্ভ মেলাও: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
২.২.১ পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি | ১. ব্যারোমিটার |
২.২.২ বায়ুর চাপ | ২. কার্টোগ্রাফি |
২.২.৩ মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা | ৩. জিওড |
২.৩ বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
২.৩.১ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে।
২.৩.২ মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর মাটি ক্ষয় হতে দেখা যায়।
২.৪ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
২.৪.১ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কী রঙের দেখায়?
২.৪.২ ভারতের একটি পশ্চিমবাহিনী নদীর নাম লেখো।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান ২
৩.১ নিরক্ষীয়তল বলতে কী বোঝ?
৩.২ ‘কালবৈশাখী’র সময় আবহাওয়ার কীরূপ পরিবর্তন হতে দেখা যায়?
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩
৪.১ আপাতভাবে পৃথিবীকে সমতল বলে মনে হয় কেন?
৪.২ ভারতে শীতকাল ও গ্রীষ্মকালের জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।
৪.৩ নক্ষত্র ও গ্রহের পার্থক্য লেখো।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫
৫.১ মহাদেশ সঞ্চরণ কাকে বলে?
৫.২ আন্টার্কটিকা মহাদেশে অভিযান করলে তুমি কী ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশের সম্মুখীন হবে?
৫.৩ ভারতে কী ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধান উৎপাদনের পক্ষে অনুকূল? ধান উৎপাদিত হয় ভারতের এমন চারটি রাজ্যের নাম লেখো।
৬.ভারতের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উপযুক্ত প্রতীকের সাহায্যে চিহ্নিত করো: প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
(ক) কর্কটক্রান্তিরেখা (খ) কারাকোরাম পর্বত (গ) গোদাবরী নদী (ঘ) কালো মাটি অঞ্চল (ঙ) পাট উৎপাদক অঞ্চল।
ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল বইটিতে মানবজীবন ও পরিবেশের মেলবন্ধন করা হয়েছে। বইটিতে শিক্ষার্থীর বাস্তব অভিজ্ঞতা, তার নিজস্ব চিন্তা ও চেতনার উন্মেষ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সহজ ভাষা, সহজ উদাহরণের সাহায্যে শিক্ষার্থীর বাড়ি, স্কুল, পাড়া, গ্রাম, শহর অর্থাৎ তার আশপাশের পরিবেশের সাথে ভূগোল বিষয়ের মূল ধারণার সংযোগসাধন করার জন্যই এই প্রয়াস-
শিক্ষক/শিক্ষিকার প্রতি-
প্রাকৃতিক ও আঞ্চলিক ভূগোল বিভাগের প্রতিটি অধ্যায়ে মূল বিষয়ের ধারণা স্পষ্ট করার জন্য আলোকচিত্র, সহজ মানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব অভিজ্ঞতা, অনুমান, সংস্কার, বিশ্বাসকে কাজে লাগাতে হবে।
শিক্ষার্থীরা যখন আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসবে, আপনি মূল বিষয়ে প্রবেশ করবেন। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর বিষয়গত ধারণা পরিষ্কার হয়েছে কিনা তা জানাবার পথ তৈরি করতে হবে। প্রশ্ন করে তাকে অপ্রস্তুত করে নয়, বরং গল্পের ছলে বা খেলার ছলে কাজটা করতে হবে।
বইটিতে ‘অনুসন্ধান’, ‘সমীক্ষা’, এবং ‘হাতে কলমে’র উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীর নিজস্ব পরিবেশ সচেতনতা এবং মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক সম্পর্ক অনুধাবন করা। এই প্রসঙ্গে অন্য কোনো উদ্ভাবনী পরীক্ষানিরীক্ষাও করানো যেতে পারে।
বইটির যেখানে যেখানে হাতেকলমে কাজ করার সুযোগ তৈরি করা আছে, শিক্ষার্থীদের সেগুলো করতে উৎসাহ দেবেন। শ্রেণিকক্ষে বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে কাজগুলো করতে প্রয়োজন বুঝে সাহায্য করবেন।
নিরবছিন্ন সার্বিক মূল্যায়ন করার জন্য নিজস্ব নোট-খাতা তৈরি করবেন। সেখানে শিক্ষার্থীর নামের সঙ্গে দুটি বা তিনটি পৃষ্ঠা রাখবেন। তাতে প্রতিদিন কিছু মন্তব্য লিখবেন। মন্তব্যগুলি একমাস বা দু-মাস অন্তর অভিভাবক/অভিভাবিকার সঙ্গে আলোচনা সভায় আলোচনা করবেন।
দলগতভাবে শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও ছবির কোলাজ তৈরি করে মূল বিষয় অনুধাবন করবে।
আপনার সক্রিয় সহায়তা ছাড়া শিক্ষার্থীরা শিখনস্তর অতিক্রম করতে পারবে না ঠিকই, তবে শ্রেণিকক্ষে/শ্রেণিকক্ষের বাইরে আপনিই ‘মুখ্য’-এই ভাব প্রদর্শন কখনই করবেন না। শিক্ষার্থীকে স্বাধীনতা দেবেন, যাতে সে নিজেই বিষয়গুলোকে বুঝতে পারে।
পিছিয়ে পড়াদের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। যারা খুব সহজে শিখন স্তরে অগ্রসর হতে পারে, শুধুমাত্র তারা বুঝতে পারলেই নিশ্চিন্ত হবেন না। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে সক্রিয়তাভিত্তিক শিখনে অংশগ্রহণ করে সেইদিকে নজর দেবেন।
শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পরিবেশেই যে ভূগোলের বিষয়বস্তু লুকিয়ে আছে তা উদ্ভাবন করার কাজে সাহায্য করবেন।
আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের বছরের কোনো একদিন কৃষিক্ষেত্র, জলাশয়, কারখানা, প্ল্যানেটারিয়াম, আবহাওয়া অফিস, বিজ্ঞান উদ্যান বা সম্ভব হলে চিড়িয়াখানা, বনাঞ্চলে নিয়ে যাবেন। তারা ঘুরে এসে নিজস্ব প্রতিবেদন তৈরি করবে।
শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে ত্রুটি হলে সেটাকে ভুল বলবেন না। শিক্ষার্থীর ভুল ধারণাকে ঠিক ধারণায় নিয়ে যেতে হবে বাস্তব অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে।
Please Share