নবম শ্রেণী ১ম অধ্যায় : গ্রহরূপে পৃথিবী
নবম শ্রেণী ১ম অধ্যায় : গ্রহরূপে পৃথিবী

SAQ Questions Answer
1.পৃথিবীর সর্বপ্রথম গোলীয় আকৃতির কথা কে বলেন ?
Ans: পিথাগোরাস
2.পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব কত?
Ans: ১৫ কোটি কিমি
3.পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস কত?
Ans:12757 কিমি
4.পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণের মেরু ব্যাস কত?
Ans:12714 কিমি
5.পৃথিবীর মেরু ব্যাস ও নিরক্ষীয় ব্যাসের পার্থক্য কত?
Ans:43 কিমি
6.পৃথিবীর পরিধি কে প্রথম পরিমাপ করেন?
Ans: এরাটোস্থিনিস
7.কোন ভারতীয় জ্যোতির্বিদ গোলাকার পৃথিবীর ধারণা দেন?
Ans: আর্যভট্ট
8.পৃথিবীর গড় ব্যাস কত?
Ans: 6400 কিমি
9.কাকে ভূ-আকৃতিবিদ্যার জনক বলা হয়?
Ans: এরাটোস্থেনিস কে
10.বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা কে করেন?
Ans: আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস।
11.জিওয়েড (Geoid) কথার অর্থ কি?
Ans: পৃথিবীর সাদৃশ্য বা পৃথিবীর মতো
12.জিয়য়েড(Geoid)শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
Ans:জোহান বেনেডিক্ট লিস্টিং
13.পৃথিবীর পরিধি কত?
Ans: 40000 or 40000 কিমি
14.GPS এর পূর্ণ অর্থ কি?
Ans: Global Positioning System.
15.পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
Ans:বুধ
16.পৃথিবীর ওজন কত?
Ans: প্রায় 6 কোটি কোটি টন
17.পৃথিবী কোন গ্রহের সমান আকারের?
Ans: শুক্র
18.সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহ কোনটি?
Ans: শুক্র (465°c)
19.সৌরজগতের শীতলতম গ্রহ কোনটি?
Ans: নেপচুন (-২১৮°c)
20.কোন গ্রহকে পৃথিবীর যমজ ভাই বলে?
Ans: শুক্র
শূন্যস্থান পূরণ করো:
(১) পৃথিবীর ওজন হল_____কোটি টন।
(২) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস____ কিমি.।
(৩) পৃথিবীর নিখুঁত আকৃতি _____
(৪) দূরত্ব অনুসারে পৃথিবী সূর্যের _____তম গ্রহ।
(৫) পৃথিবীর অপর নাম _____।
(৬) প্লুটো একটি ____ গ্রহ।
(৭) পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ____°সে.।
(৮) ______হল একটি বহিস্থ গ্রহ।
(৯) পৃথিবীতে আবাসস্থল সৃষ্টির মূল কারণ______।
(১০) ______ভারতীয় জ্যোর্তিবিদ গোলাকার পৃথিবীর ধারণা দেন।
Answer Keys: 1.6, 2.12757 km, 3.জিওয়েড (Geoid), 4.তৃতীয়, 5.নীলগ্রহ, 6.বামন, 7.15°সে, 8.শনি, 9.অক্সিজেন, 10.আর্যভট্ট

2 Marks Question Answer
Q1.গ্রহ কাকে বলে?
Ans: সৌরজগতের বিভিন্ন জ্যোতিষ্কের মধ্যে এমন কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যাদের নিজস্ব কোনো উত্তাপ নেই। সূর্যের আলোয় এরা আলোকিত হয় এবং নির্দিষ্ট পথে, নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের আকর্ষণে এরা সূর্যের চারদিকে ঘুরে বেড়ায়। এইসব জ্যোতিষ্ককে গ্রহ বলে I
Q2.অভিগত গোলক কাকে বলে?
Ans: যে গোলকের উত্তর-দক্ষিণ অক্ষ সামান্য চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ কিছুটা ফোলা, তাকে অভিগত গোলক বলে।
বৈশিষ্ট্য: (১) অভিগত গোলকের দুটি অক্ষ থাকে। (২) দীর্ঘ অক্ষ অনুভূমিক এবং ক্ষুদ্র অক্ষ উল্লম্ব। পৃথিবীর ক্ষেত্রে দীর্ঘ অক্ষ নিরক্ষরেখা এবং উল্লম্ব অক্ষ মেরুরেখা গঠন করে।
Q3.জিয়ড কী?
Ans: পৃথিবীকে গোল বা অভিগত গোলক বলা হলেও পৃথিবীর আকৃতি সঙ্গে আমাদের জানা বা দেখা কোন পরিচিত বস্তুর আকৃতির কোন মিল নেই বা সঠিক তুলনা করা যায় না। তাই পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে সর্বাধুনিক ধারণা হলো জিয়ড যার অর্থ ‘পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো’।
Q4.দিগন্ত রেখা কাকে বলে?
Ans:পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং আকাশের মধ্যে যে কাল্পনিক রেখা দেখা যায়, যে রেখা বরাবর আকাশ ও পৃথিবী মিশে গেছে তাকে দিগন্ত রেখা বলে।
Q5.GPS কী?
Ans:মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে যে কোন আবহাওয়া গত পরিস্থিতিতে ভূপৃষ্ঠের উপর বা কাছে যে কোন স্থানের অবস্থান ও সময় নির্ণয় এর সহজ সরল পদ্ধতি হলো ভূ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বা GPS.
3 Marks Questions Answer
1.কুলীন গ্রহ ও বামন গ্রহের মধ্যে পার্থক্য ?
বিষয় | কুলীন গ্রহ | বামন গ্রহ |
---|---|---|
অবস্থান | কুলীন গ্রহগুলি সূর্যের নিকট অবস্থিত | গ্রহগুলির সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত |
আয়তন | কুলীন গ্রহের আয়তন ও ভর অনেক বেশি। | বামন গ্রহের আয়তন ও ভর যথেষ্ট কম। |
আকৃতি | কুলীন গ্রহদের আকৃতি প্রায় গোলক। | বামন গ্রহদের আকৃতি অনেক ক্ষেত্রে চ্যাপটা। |
ভরকেন্দ্র | এদের ভরকেন্দ্র নিজেদের মধ্যেই থাকে। | এদের ভরকেন্দ্র তাদের নিজেদের মধ্যে নাও থাকতে পারে। |
বস্তুকণা | এরা কক্ষপথের আশেপাশের সমস্ত মহাজাগতিক বস্তুকণা সরিয়ে দিতে পারে। | এরা নিজ কক্ষপথের নিকটস্থ কোনো মহাজাগতিক বস্তুকণা সরিয়ে দিতে পারে না। |
2. GPS এর ব্যবহার গুলি লেখ I

Ans: GPS পদ্ধতি ব্যবহার করে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায় তা হল-
i. অবস্থান নির্ণয়: এই প্রযুক্তির সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ এবং উচ্চতা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়।
ii. কাটোগ্রাফি: সামরিক ও নাগরিক কাজে কোন স্থানের নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ।
iii. বিপর্যয় মোকাবিলা: প্রাকৃতিক বিপর্যয়স্থলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করে সঠিক সময় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
iv. যান চলাচল: বিমান জাহাজ এমনকি সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রেও জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার কোন যানবাহনের অবস্থান আমরা খুব দ্রুত ও সহজেই জানতে পারি।
v. সামরিক প্রতিরক্ষায়: সৈন্যদের অন্ধকার বা অপরিচিত বউ-ভাগ লক্ষ্য স্থল নির্ণয়ে এবং সেনা দলের চলাচল অবস্থান স্থির করতে এছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৈদেশিক আক্রমণকারীদের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব।
vi. আবহাওয়া পূর্বাভাস: জিপিএস যন্ত্রের সাহায্যে ঝড়ঝঞ্জা বৃষ্টি প্রভৃতি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সহজে পাওয়া যায়।
vii. মোবাইল ফোন: বর্তমানে মোবাইল ফোনে সঠিক সময় এবং উপভোক্তার সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে GPS গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে I
5 Marks Questions Answer
1.পৃথিবী যে অভিগত গোলাকার তার স্বপক্ষে প্রমাণগুলি আলোচনা করো।
Ans: i.পৃথিবীর ব্যাস ও পরিধির পার্থক্য: পরীক্ষা করে দেখা গেছে পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস প্রায় 12757 কিলোমিটার ও মেরুদেশীয় ব্যাস প্রায় 12714 কিমি। এ থেকে প্রমাণ করা যায় যে, মেরু অঞ্চলের তুলনায় পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল 43কিলোমিটার স্ফীত। নিরক্ষীয় পরিধি মেরু পরিধি অপেক্ষা (40093-39958)=135 তিমি বড় তাই পৃথিবীর পূর্ণ গোলক নয় অভিগত গোলক।

ii.স্তুর ওজনের তারতম্য: পৃথিবীর মেরু অঞ্চল নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা পৃথিবীর কেন্দ্রের অধিক নিকট অবস্থিত হওয়ায় মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব বেশি। এই কারণে কোনো বস্তুকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ওজন করার পর পুনরায় মেরু অঞ্চলে ওজন করলে তার ওজন বেড়ে যায়। এ থেকে প্রমাণ করা যায় পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক I
iii.নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ: একই দ্রাঘিমা বার বার উত্তর বা দক্ষিণ দিকে এগোতে থাকলে কোন নক্ষত্রের উন্নতি কোণ এক ডিগ্রী করে বাড়িতে বাড়িতে নিরক্ষীয় অঞ্চলে যে গ্রুপ পৃষ্ঠ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়, মেরুর দিকে তা বৃদ্ধি পায় ধরে রাখতে অঞ্চলে 110.569 কিমি এবং মেরু অঞ্চলে 111.700 কিমি হয়। অর্থাৎ মেরুতে 1.131 কিমি বেশি হয় তাই ভূপৃষ্ঠের গোলত্বে অঞ্চলে বেশি মেরু অঞ্চল কম।
iv.ঘড়ির সময়ের পার্থক্য: জ্যোতির্বিদ জাঁ রিচার (১৬৭১) পরীক্ষা করে দেখেন প্যারিসে (৪৮°৩০`উঃ) তার ফ্রেন্ড গোলাম দেয়াল ঘড়ি নিখুঁত সময় দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার কেইন দ্বীপে (৫° উঃ) ঘড়িটির সময় প্রতি 24 ঘন্টায় আড়াই মিনিট পিছিয়ে যায়। তখন সময়ের পরিবর্তনের কারণ বুঝতে না পারলেও নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আবিষ্কার এরপর তার স্পষ্ট হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যে বস্তু কেন্দ্রের যত কাছে সেখানে পৃথিবীর আকর্ষণ ক্ষমতা তত বেশি। এই নিয়মানুযায়ী দোলক ঘড়িটি যেহেতু কেইন দ্বীপ নিরক্ষীয় অঞ্চলের নিকটবর্তী সেহেতু ধীরে এবং প্যারিস নিরক্ষীয় অঞ্চলের থেকে দূরে হওয়ায় ঠিক সময় চলে।
v.অক্ষরেখার দূরত্ব গত পার্থক্য: একই দ্রাঘিমা রেখা বরাবর দুটি অক্ষরেখার মধ্যে দূরত্ব সব স্থানে সমান হয় না এটিও পৃথিবী যে অভিগত গোলক তার প্রমান।
vi.কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ: পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ গুলি নিরক্ষরেখায় তাদের কক্ষপথের বাইরে সরে যায়। কিন্তু মেরু বিন্দুতে ভেতরের দিকে ঢুকে যায় এটাও প্রমাণ করে পৃথিবীর পূর্ণ গোলাকার নয়।
Please Share