GEOTECTONICS MOCK TEST
GEOTECTONICS MOCK TEST | WBSLST/WBSSC GEOGRAPHY
Syllabus (GRAD / IX-X Level) : Earth’s Crust (Composition and Layering); Rocks (Origin, Types and Characteristics); Folds and Faults (Types and Landforms); Mountain Building and Plate Tectonics, Earthquakes (Cases and Effects) and Volcanoes.
ভূ-অভ্যন্তরের গঠন ও স্তরবিন্যাস ; শিলা ( উৎপত্তি, প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য) ; ভাঁজ ও চ্যুতি (শ্রেণীবিভাগ ও ভূমিরূপ) ; পর্বত গঠন এবং পাতসংস্থান মতবাদ ; ভূমিকম্প (কারণ ও প্রভাব/ ফলাফল) এবং অগ্নুৎপাত।
CSSC Geography Geotectonics Online Mock Test

- Geotectonics Test -I 👉 Click Here
- Geotectonics Test-II👉 Click Here
- Geotectonics Test-III👉 Click Here
- Geotectonics Test-IV👉 Click Here
- Geotectonics Test-VI
- Geotectonics Test-VII
- Geotectonics Test-VIII
- Geotectonics Test-IX
- Geotectonics Test-X👉 Click Here
ভূ-অভ্যন্তর তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত- i.শিলামন্ডল ii.গুরুমন্ডল বা ম্যান্টল iii.কেন্দ্রমন্ডল বা কোর।
পাইরোস্ফিয়ার: শিলামন্ডলের নিচে ১০০ থেকে ২৮০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি পাইরোস্ফিয়ার।
ব্যারিস্ফিয়ার: ভাইরাস ফ্যানের নিচে থেকে অর্থাৎ ২৮০০ কিমি থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি ব্যারিস্ফিয়ার। এটি মূলত লোহা এবং নিকেল দ্বারা গঠিত।
ভূত্বক: পৃথিবীর উপরিভাগের হালকা পদার্থ দ্বারা গঠিত কঠিন আবরণ ভূত্বক।
সিয়াল(Sial) বা মহাদেশীয় ভূত্বক:Si=সিলিকন ও Al= অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত স্তর।
সিমা (Sima) / মহাসাগরীয় ভূত্বক: Si= সিলিকন ও Ma= ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত স্তর।

গুরু মন্ডল: কেন্দ্রমন্ডল অসীম মন্ডল এর মধ্যবর্তী ভূ অভ্যন্তরে ৪০ কিমি থেকে ২৯০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটি গুরুমন্ডল। এটা দুটি ভাগে ভাগ করা যায় i.ঊর্ধ্ব গুরুমন্ডল বা ক্রোফেসিমা, ii.নিম্ন গুরু মন্ডল বা নিফেসিমা।
বিযুক্তিরেখা : শিলা মন্ডল ও গুরু মন্ডল – মোহ বিযুক্তি
সিয়াল ও সিমা – কনরাড বিযুক্তি
গুরু মন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল- গুটেনবার্গ বিযুক্তি
ঊর্ধ্ব গুরু মন্ডল ও নিম্ন গুরুমন্ডল – রেপিট্টি বিযুক্তি
বহিঃ কেন্দ্রমন্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল- লেহম্যান বিযুক্তি।
উদবেধী আগ্নেয় শিলার উদাহরণ-
পাতালিক: গ্রানাইট, গ্র্যাবো, ডায়োরাইট। উপপাতালিক : ডলোরাইট ,পরফাইরি,গ্রনোপার।
নিঃসারী শিলা: ব্যাসল্ট, আগ্নেয় তুফ।
“আরম্ভের কোন হদিশ নেই, আবার শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই”– শিলাচক্র সম্বন্ধে ভূবিজ্ঞানী হার্টন বলেছিলেন।
গ্রন্থি রেখা : যে রেখা বরাবর শিলাস্তরের নতির দিক পরিবর্তিত হয় তাকে ভাঁজের গ্রন্থি রেখা বলে। অর্থাৎ শিলাস্তরের তল যে রেখা বরাবর বেঁকে যায়।
ওপেল: এক প্রকার জৈব ও অসংঘাত পাললিক শিলা। প্রবাল ও বিভিন্ন সামুদ্রিক জলজ প্রাণীর দেহজাত বালিকণা জমাট বেঁধে এটি গঠিত হয়।
টিলাইট: এটি একটি যান্ত্রিক ও সংঘাত পাললিক শিলা। হিমবাহ সঞ্চিত কোণযুক্ত বিভিন্ন আয়তনের অবাছাই শিলাকণা জমাট বেঁধে এটি গঠিত হয়।
গ্র্যানাটাইজেশন : কেবলমাত্র তাপ দ্বারা যে-কোনো শিলার গ্রানাইট আগ্নেয় শিলায় পরিণত হবার পদ্ধতিকে গ্রানাটাইজেশন বলে। ভূঅভ্যন্তরে শিলা ফাটলের মধ্যে প্রবিষ্ট উত্তপ্ত গলিত তরল ম্যাগমা সংলগ্ন শিলাস্তরের অংশটি পুরোপুরি গলিয়ে তরল ম্যাগমাতে পরিণত না করে রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা গ্রানাইটে পরিণত করে।
মহাসাগরীয় পাত ও আমেরিকা পাতের মিলন অঞ্চল।
ন্যাপ (Nappe): শায়িত ও উদঘট্ট ভাঁজের একপাশে অধিক চাপ বৃদ্ধির ফলে উলটানো বাহুটি সংঘট্ট তল বরাবর স্বাভাবিক বাহু থেকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উৎস থেকে দেড় কিমির অধিক দূরত্বে নিক্ষিপ্ত হয় এবং মূল শিলার সঙ্গে কোনো সংযোগ না থাকলে তাকে ন্যাপ বলে।
যথা-কাশ্মীর, সিমলা, গাড়োয়াল ন্যাপ।
সীবনরেখা (Suture Line): যে রেখা বরবার’ অভিসারী পাতসীমান্তে দুটি পাতের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ হয় বা দুটি মহাদেশীয় পাত যে রেখা বরাবর জোড়া লেগে যায়, তাকে সীবনরেখা বলে।উদাহরণ: হিমালয়ের পশ্চিমাংশে সিন্ধুনদের উপত্যকা সীবনরেখার উদাহরণ।
বিপরীত নিমজ্জন (Obduction): মহাসাগরীয় ও মহাদেশীয় পাতের মধ্যে সংঘর্ষ হলে অনেক সময় দেখা যায় মহাসাগরীয় পাতটি মহাদেশীয় পাতের ওপরে উত্থিত হয়ে অবস্থান করছে। এই বিপরীতধর্মী ঘটনাকে বলা হয় বিপরীত নিমজ্জন। উদাহরণ: পাপুয়া নিউগিণিতে এই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়।
ক্রেটন : প্রাচীন স্ফটিকযুক্ত শিলাগঠিত ও টেকটনিক বলের প্রভাবমুক্ত নিষ্ক্রিয় ভূমি যা দীর্ঘকাল ধরে সুস্থিত অবস্থায় রয়েছে।
ওরোজেনি (Orogeny) : নবীন ও প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি প্রক্রিয়া।
কর্ডিলেরা : দুই আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিমপ্রান্তের রকি ও আন্দিজ পর্বত কর্ডিলেরা নামে পরিচিত।
লরেশিয়া (Laurasia): উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া নিয়ে গঠিত। এর অপর নাম আঙ্গারাল্যান্ড।
গন্ডোয়ানা ভূখণ্ড (Gondwanaland) : দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, উপদ্বীপীয় ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে গঠিত।
মেরু অবস্থানের স্থান পরিবর্তন: মহাদেশগুলির সাপেক্ষে বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক যুগে মেরুর স্থান পরিবর্তন।
জিগ-স-ফিট: মহাদেশগুলিকে পুনরায় কাল্পনিকভাবে যুক্ত করলে পরস্পর জোড়া লেগে যাওয়ার ঘটনা।
প্যানজিয়া (Pangea):
‘Pan’ অর্থে ‘সম্মিলিত’, ‘Geo’ অর্থে ‘মহাদেশ’। ওয়েগনারের মতে আজ থেকে আনুমানিক *4 কোটি বছর আগে পৃথিবীর সব মহাদেশগুলি আজকের মতো বিচ্ছিন্ন না থেকে সম্মিলিত অবস্থায় থেকে একটি বিশাল খলভাগের অন্তর্গত ছিল। এর নাম প্যানজিয়া।
প্যানথালাসা (Panthalasa):
‘Pan’ অর্থে ‘সম্মিলিত’, ‘Thalasa’ অর্থে ‘মহাসাগর’। ওয়েগনারের মতে আজ কে আনুমানিক 34 কোটি বছর আগে পৃথিবীর সব জলভাগ পরস্পর মিলিত হয়ে একটি মহাসাগরের আকার নিয়ে নজিয়াকে ঘিরে ছিল। এর নাম প্যানথালাসা।
পাত (Plate):
জে.টি. উইলসন সর্বপ্রথম ‘Plate’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পৃথিবীর শিলামণ্ডল বা মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক কতকগুলি বিভিন্ন আকৃতির কঠিন, পাতলা, অনমনীয়, চলমান খণ্ডে বিভক্ত। এদের পাত বলে। বিশ্বে 7 টি বৃহৎ, ৪ টি মাঝারি ও 20 টি ছোটো পাত আছে। উদা প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, স্কোশিয়া পাত প্রভৃতি।
পাত গাঠনিক তত্ত্ব (Plate Tectonics):
যে পার্থিব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীর গতিতে পাতের চলাচলের মাধ্যমে ভূ-ত্বকের গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম সাধিত হয়, তাকে পাত ভূগঠন বা পাত ভূসংস্থান বলে। আর যে তত্ত্বে এ সংক্রান্ত আলোচনা হয়, তাকে পাতগাঠনিক তত্ত্ব বলে। বিজ্ঞানী পিঁচোকে ‘পাতগাঠনিক তত্ত্বের জনক’ বলা হয়।
হটস্পট (Hotspot):
ভূ-ত্বকের যে অংশে ভূগর্ভ থেকে নির্গত তাপপ্রবাহের মাত্রা অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি, তাকে বলে হটস্পট। যেখানে হটস্পট থাকে, সেখান থেকে প্রবল বেগে ম্যাগমা উপরদিকে উঠে আসে। উত্থিত ম্যাগমার চাপে পাতগুলি ক্রমশ সরতে থাকে।
বেনিয়ফ মণ্ডল (Beni-off Zone):
ক্ষুব্ধমন্ডলের ওপর ভাসমান ও গতিশীল দুটি ভিন্নগতির ও ঘনত্বের পাত দুটির অভিসারী সীমান্তে প্রবল সংঘর্ষস্থলে ভারী পাতটি হালকা পাতের নীচে যে ঢালু তল বরাবর প্রবেশ করে বা অধোগমন করে ধ্বংস হয়, তাকে বেনিয়ফ মন্ডল বলে। এটি প্রবল ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত প্রবণ এলাকা। এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে 30-80° কোণে হেলে থাকে। তবে গড়ে 45°। যথা-ইউরেশীয় পাত ও প্রশান্ত পাতের মিলন অঞ্চল।
সীবনরেখা (Suture Line): দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষস্থলে অভিসারী পাত সীমান্তে যে রেখা বরাবর পাত দুটি পরস্পর সংযুক্ত হয় তাকে সীবনরেখা বলে। যেমন-সিন্ধু উপত্যকা।

লাহার (Lahar): অগ্ন্যুৎপাতের ন্যুয়ে আর্দেন্ত পদার্থে বৃষ্টিপাতের জল বা নদীর জল মিশ্রিত হয়ে বা জ্বালামুখ হ্রদে ছাই পূর্ণ হয়ে বা তুষার গলা জলে ভস্ম মিশ্রিত হয়ে সৃষ্ট কর্দম প্রবাহ আগ্নেয়গিরির নিম্নদেশে সঞ্চিত হয়ে যে ঢিবিযুক্ত ও উঁচু নীচু ভূমি সৃষ্টি হয় তাকে ভূবিজ্ঞানী কটন (1949) লাহার বলেছেন।
জ্বালামুখ (Crater): আগ্নেয়গিরির ছিদ্রপথে খাড়া দেওয়ালবেষ্টিত ও ফানেলাকৃতি যে বহির্মুখ দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত হয় তাকে জ্বালামুখ বলে। এর গভীরতা গড়ে 300 মি, ব্যাস কয়েক মিটার থেকে কয়েক কিমি হয়। ঢাল 25-30° হয়। প্রায় সব আগ্নেয়গিরির শীর্ষে একটি মুখ্য এবং গায়ে গৌণ জ্বালামুখ থাকে। আলাস্কার অনিয়াকচক বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালামুখ।
টেফ্রা (Tefra): প্রবল বিস্ফোরণ অগ্ন্যুৎপাতে সজোরে বহু উপরে উত্তপ্ত তরল লাভা উৎক্ষিপ্ত হয় এবং ঠান্ডা উচ্চ ট্রপোস্ফিয়ার বায়ুস্তরে শীতল ও কঠিন হয়ে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। এই কঠিন অগ্ন্যুৎপাত জাত পদার্থকে টেফ্রা বলে। এই কণাগুলির ব্যাস 2 মিমি থেকে 2 মিটারেরও বেশি হয়।
ব্যাথোলিথ (Batholith) : ভূ-অভ্যন্তরে অতিবৃহদাকার, পাতালিক প্রকৃতির, তরঙ্গায়িত, অনিয়তাকার খাড়া ঢালযুক্ত, অনির্দিষ্ট ভূমিতল যুক্ত, শিলাস্তরের সঙ্গে সমান্তরাল বা ছেদকারী ও গ্রানাইট শিলায় গঠিত আগ্নেয় উদ্বেধকে ব্যাথোলিথ বলে। এর আয়তন কয়েক বর্গ কিমি এবং নীচের দিকে আয়তন ক্রমশ বৃদ্ধি পায় বা সমান থাকে। যথা-আয়ারল্যান্ডের উইকলো পর্বত, মালয়েশিয়ার কিনাবালু, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কোস্ট ব্যাথোলিথ (বিশ্বে বৃহত্তম)।