এক নজরে ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু ‘ইন্দিরা পয়েন্ট’
এক নজরে ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু ‘ইন্দিরা পয়েন্ট
এ পোস্টটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়লে ইন্দিরা পয়েন্ট সম্পর্কে আপনারা যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
“ইন্দিরা পয়েন্ট”ভারতের দক্ষিণ তম বিন্দু।
অবস্থান:-ভারতীয় উপমহাদেশের মুল ভূখন্ডের দক্ষিণ তম প্রান্ত হল “কন্যাকুমারীকা অন্তরীপ। কিন্তু ইন্দিরা পয়েন্ট বা পিগম্যালিয়ান পয়েন্ট বা পারসন্স পয়েন্ট ভারতের অধীন ভূখন্ডগুলির মধ্যে সবচেয়ে দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের আন্দামান -নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বৃহৎ নিকোবর দ্বীপে অবস্থিত।

অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ গত ভাবে 6°45’উঃ অক্ষাংশ ও 97°50′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ছেদ বিন্দুতে ইন্দিরা পয়েন্ট অবস্থান করছে।
আয়তন:-ভারতের দক্ষিণ তম গ্রাম টি লক্ষ্মীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে সর্বমোট আয়তন হল 1045sqft.
উচ্চতা:-ইন্দিরা পয়েন্টের সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা 642 মিটার।তথা ইন্দিরা পয়েন্ট নামক বাতি স্মারকটির (স্তম্ভটি) উচ্চতা 47 মিঃ। ইহার সর্বোচ্চ বিন্দুর নাম হল মাউন্ট থুলিয়র (Mount Thullier).
নামকরণ:-ইন্দিরা পয়েন্টের পূর্ব নাম পিগ ম্যালিয়ন পয়েন্ট বা পারসন্স পয়েন্ট।ইহা প্রথম 1972 সালে ভারতের দক্ষিণ তম বিন্দু 🙏🏻 স্মারক স্তম্ভ রূপে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও এটি ভারত মহাসাগরে চলমান জাহাজ গুলির দিক নির্দেশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখান নির্মিত একটি বাতি স্তম্ভের ( লাইট হাউস) মা আবার ঐ স্থানের প্রধান আকর্ষণ, সাহায্যে রাত্রিকালীন জাহাজ চলাচলে দিক নির্দেশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 1985 সালের 18 অক্টোবর ভারতের দক্ষিণতম স্থলবিন্দু পিগ্যালিয়ান পয়েন্ট-এর নতুন নামকরণ করা হয় ইন্দিরা পয়েন্ট। 1972 সালে এখানে 35 মিটার উঁচু লাইটহাউস (Light House) নির্মাণ করা হয়, যা আন্তর্জাতিক জলপথের গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক। 2004 সালের প্রবল সুনামিতে এই লাইটহাউসের নীচের দিকের অংশ অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার প্রায় কাছাকাছি চলে আসে। পরবর্তীকালে এটিকে মেরামতি করা হয় এবং বর্তমানে সুরক্ষিত আছে।

1984 সালের 19 শেষ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া ইন্দিরা গান্ধী তাঁর মৃত্যুর কিছুদিন আগে এই গ্রাম পরিদর্শনে যান। তখন স্থানীয় এম-পি ঐ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ঐ গ্রামের নাম ইন্দিরা পয়েন্ট রাখা হবে তার প্রস্তাব দেওয়া হয়। 1985 সালের 10ই অক্টোবর অর্থাৎ মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ঐ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম ইন্দিরা পয়েন্ট নামে পরিচিত লাভ করে।
জনসংখ্যা:-এই ইন্দিরা পয়েন্ট গ্রামে বাতিঘর কে ঘিরে প্রায় 20-24 (2001 সালের আদম শুমারি অনুযায়ী) পরিবারের বসবাস ছিল। কিন্তু 2004 সালে সংঘটিত ভয়ঙ্কর সুনামীর প্রভাবে এই পরিবারের সদস্যদের অধিকাংশ অধিবাসী ও 4 জন বিজ্ঞানী ও গবেষক দল সহ সলিল সমাধি ঘটে। বর্তমানে স্থানটিতে সর্বমোট 27 জন অধিবাসী বসবাস করে, আর আশ্চর্যের বিষয় হলো এদের সকলেই পুরুষ।
Others Information:
ভারতীয় উপমহাদেশ:
হিমালয় পর্বতের দক্ষিণে ভারত সহ পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এই 7টি দেশের প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য খুবই বেশি। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। উক্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থান মাঝবরাবর। ক্ষেত্রফল ও জনসংখ্যায় ভারত 7টি দেশের মধ্যে বৃহত্তম এবং অর্থনীতিতে সর্বাধিক সমৃদ্ধশালী ও শক্তিশালী। দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান চালিকা শক্তি হল ভারত। তাই ভারত সমেত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে এ রক্ষা পেয়ে আসছে। ফলে এই একসাথে বলা হয় ভারতীয় উপমহাদেশ।
🌏অভিক্ষেপ(Projection)🌍
পৃথিবীর যে কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক(3D) রূপকে দ্বিমাত্রিক(2D) তলে প্রতিস্থাপন করার পদ্ধতিকে অভিক্ষেপ বলে । যেমন ধরুন আমার সামনে একটি টেবিল রাখা আছে এবার টেবিলটির অনুরূপ একটি টেবিল কাগজে প্রতিস্থাপন করা হল। প্রতিস্থাপন করার পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে (দেখে দেখে আঁকা, আলোর সাহায্যে ছায়া পাতের মাধ্যমে আঁকা, ম্যাথমেটিক্যাল ক্যালকুলেশন etc)
🌏মানচিত্র অভিক্ষেপ(Map Projection )বলে।
যখন নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে কতগুলো সূত্র, নীতি ও সীমাবদ্ধতা মেনে ত্রিমাত্রিক (3D) ভূগোলকের(Globe) অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার জালিকাকে কোন নির্দিষ্ট তলে বা কাগজে(2D) যথাযথ ভাবে স্থানান্তর করার পদ্ধতিকে মানচিত্র অভিক্ষেপ(Map Projection )বলে।
মানচিত্র অভিক্ষেপ ক্ষেত্রে মূলত চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়-
1.আকৃতি(Shape)
- ক্ষেত্রফল (Area)
- দূরত্ব (Distance)
4.দিক( Direction)
মানচিত্র অভিক্ষেপের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে উপস্থাপন করা হয়। যেমন ধরুন আপনি মেরু অঞ্চল প্রতিস্থাপন করবেন সেক্ষেত্রে অভিক্ষেপের ধরন এক হবে ,আবার ধরুন আপনি নিরক্ষীয় অঞ্চল প্রতিস্থাপন করবেন সেক্ষেত্রে অভিক্ষেপের ধরন আরেক হবে। দুটো ক্ষেত্রেই কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। কোন মহাদেশ দেশ অঞ্চল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ধরনের প্রজেকশন ব্যবহার করা হয়। যেমন মার্কেটারস অভিক্ষেপের কথা ভিডিওতে বিস্তারিত বলা হয়েছে , পুরো পৃথিবীর মানচিত্র মার্কেটারস প্রজেকশনে দেখানো হল তার উদ্দেশ্য কিন্তু জাহাজ ও বিমান চলাচল সুবিধা জনক করে তোলার জন্যই করা হয়েছিল।