৯ মাস পর সুনিতার ঘরে ফেরা
৯ মাস পর সুনিতার ঘরে ফেরা

আমরা জানি নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর নয় মাস অনিচ্ছাকৃতভাবে মহাকাশে কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।কিন্তু মোটেও কাজটা সহজ ছিল না। সারা বিশ্ব আজ তাদের এই অবিশ্বাস্য কর্মে গর্বিত ও আপ্লুত। পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে কেউ ছিলেন না।
কতদিনের জন্য গিয়েছিলেন?
প্রাথমিকভাবে কথা ছিল আট দিনের জন্য মহাকাশে যাওয়ার আট দিন পরেই পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসবেন। কিন্তু অবশেষে নয় মাস পর তারা ফিরেছেন।সুনি ও বুচ ২০২৪ সালের জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলের পরীক্ষামূলক আট দিনের মিশনের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন।তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নাসা তাদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) রেখে দেয় এবং স্টারলাইনারকে খালি অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনে।

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর মাটিতে পা রাখতে কোন কোন ধাপ পেরোতে হয়েছে?
- 1.মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগেই স্পেসশিপ তার ডানা খুলে ফেলবে I
- বায়ুমণ্ডলের তাপ সহ্য করতে (রকেট বার্ন প্রক্রিয়া) মহাকাশযানের মধ্যে থাকার তাপ ঢাল খুলে যাবে, যা মহাকাশচারীদের তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করবেI
- পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরই গতি কমিয়ে ফেলবে স্পেসশিপ
- এরপর খুলে যাবে চারটি প্যারাসুট
- প্যারাসুট এ ভর করেই যানটি নেমে আসবে পৃথিবীর বুকে I
বুধবার (১৯ মার্চ) ভারতীয় সময় ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর মাটি পৌঁছেছেন সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর টিম I

আমাদের মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার কথা কোথাও যেন উঁকি দিয়ে উঠেছে। সেই দিন ২০০৩ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি 6 জন মহাকাশচারীর সঙ্গে কল্পনা চাওলা ও ফিরছিলেন পৃথিবীর দিকে কিন্তু মাত্র ১৬ মিনিট আগেই বায়ুমন্ডলে ভেঙে পড়ে তাদের মহাকাশযান i এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে ছিল সারা বিশ্ব। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তাই সকলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় রত ছিল সুনিতার টিমের জন্য।
শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা
এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি নাসাকে মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছে যে মহাকাশে যে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যার সমাধানে নাসার প্রকৌশলীদের দ্রুত চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া
নাসা মহাকাশ অন্বেষণ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকলে, এই মিশন থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। এই সফলতা প্রমাণ করে যে নাসার দল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে এবং তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম।
স্পেসএক্সের ড্রাগন:

ফ্লোরিডার সময় রাত ১টা ৫ মিনিট নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এক্সকিউজ মহাকাশযান সুনিতা উইলিয়াম ও তার সাথীদের নিয়ে স্পেসএক্স ক্রিউ-9 মহাকাশযানে যাত্রা শুরু করেন। ১৭ ঘণ্টা পর সুনিতা উইলিয়াম, বুচ সহ চারজন সাথী ফ্লোরিডা উপকূলে বুধবার রাত 3টা 27 মিনিটে অবতরণ করে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুনিতা উইলিয়ামকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি করেছেন।
মানুষ শুরু থেকেই আশ্চর্য হয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টির কথা ভেবেছে। মহাবিশ্বের রাতে সৃষ্টি নিয়ে বহু মতভেদ আছে। এরকম এক আধুনিক মত অনুযায়ী মহাবিশ্বের হাজ সমস্ত পদার্থ একটা বালির কণার থেকেও ছোটো অবস্থায় ছিল। প্রায় ১৪০০ কোটি চাঁদ বছর আগে তার প্রসারণ শুরু হয়। প্রচুর তাপ আর অকল্পনীয় শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে প্রচুর ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ সৃষ্টি হয়। কোটি কোটি সম্প বছর ধরে এই ধুলোর মেঘ, গ্যাস থেকে তৈরি হয় অসংখ্য নীহারিকা, ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, উল্কা প্রভৃতি। মহাবিশ্বের সবকিছুই চলমান অবস্থায় আছে এবং ক্রমাগত একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সীমাহীন মহাবিশ্ব ঠিক ঠিক কতদূর বিস্তৃত তা মানুষের কল্পনার বাইরে। আমরা অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষ বছ মহাবিশ্ব সম্বন্ধে খুব সামান্যই জানতে পেরেছি।
এখন আমরা যেমন তারাভরা রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ করি, হাজার হাজার বছর আগেও মানুষ চাঁদ, সূর্য, তারা, ছায়াপথ, ধূমকেতু, উল্কা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সম্পর্কে জানবার চেষ্টা করত। বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরোনো এই চর্চা হলো ‘জ্যোতির্বিজ্ঞান’। চাঁদ, সূর্য, তারার চলাফেরা দেখে দিক ঠিক করা হতো কিংবা দিন, মাস, নুষ বছর, সময় গণনা – সবই হতো আকাশ দেখে। কম্পাস, ঘড়ি, ক্যালেন্ডারের কাজ করত আকাশ
একটা পাথর ওপর দিকে ছুঁড়ে দিলে পৃথিবীর অভিকর্ষের প্রভাব্যে সেটা সবসময় নীচের দিকেই পড়ে। পৃথিবীর এই অভিকর্ষ বল এড়িয়ে মহাশূন্যে যাওয়া সহজ কথা নয়। এর জন্য চাই এমন এক যান যার পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের প্রভাবকে ছাড়িয়ে মহাশূন্যে পৌঁছানোর ক্ষমতা ও গতি থাকবে। রকেট হলো বিজ্ঞানের সেই আবিষ্কার যা সহজে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারে। রকেটের জ্বালানি পুড়ে তৈরি হওয়া গ্যাসের প্রবল ধাক্কায় রকেট ওপরের দিকে ওঠে। মহাকাশে যাওয়ার পোশাককে বলে ‘স্পেস স্যুট’। ভেতরে হাওয়া ভরা থাকে, এমনভাবে তৈরি যাতে মহাকাশের কোনো রশ্মি এর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
Please Share